এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সুগন্ধা এক নারীর উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এক যুবক ও দুপুরে বিষখালী নদী থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ তিন লাশ নিয়ে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৪৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বোন, ভাগ্নি ও ভাতিজার মৃত্যু ও তাদের লাশ না পেয়ে লঞ্চটির মালিক ও স্টাফসহ ২০ জনের নামে মামলা করেছেন ঢাকার ডেমরার এক বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা জানান, সকালে লাশগুলো ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, ভেসে ওঠার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড সদস্যরা লাশগুলো উদ্ধার করে ঝালকাঠি লঞ্চ ঘাটে আনেন। লাশগুলোর শরীরে পোড়া দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশগুলোর সুরতহাল তৈরি করেন ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চয়ন হালদার। তিনি জানান, ঝালকাঠির ঘাট সংলগ্ন সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনা থেকে উদ্ধার নারীর বয়স ৩০-৩২ বছরের মধ্যে হবে। গতকালের যুবকের বয়স ৩০-৩৫ বছর মধ্যে হবে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া চিহ্ন রয়েছে। সদর উপজেলার সাচিলাপুর এলাকায় বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার কিশোরের বয়স ১২-১৩ বছর হতে পারে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়াদের খুঁজতে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। বুধবার ষষ্ঠ দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়।