• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। 

রোববার (১৬ জুন) সকালে ঈদ জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন শুরু হয়।  

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের মানুষ। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। ঈদের দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করেন আবু ইয়াহয়িা জাকারয়িা মাদানী।

জেলার হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফ, উপজলোর সাদ্রা, সমশেপুর, অলপিুর, বলাখাল, মনহিার, কচুয়া ও শাহরাস্তসিহ আরও বেশ কয়কেটি উপজলোর অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে শামিল হয়েছেন।

হাজীগঞ্জরে সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী জানান, মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারায় তাঁরা ঈদ পালন করছেন।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রামেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় সদর উপজেলার ভাড়খালি গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের আরেকটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মাওলানা মহব্বত আলী।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করা প্রসঙ্গে মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সারা পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ করার বিষয়ে ইসলামি সহযোগতিা সংস্থার (ওআইসি)  সিদ্ধান্ত রয়েছে। ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাতক্ষীরার এই ইমাম।

এদিকে দিনাজপুরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড় এলাকার পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবায় একই দিনে ঈদ ও কোরবানি করার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। এ সময় পবিত্র কোরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।

ঈদুল আজহার আগাম নামাজ আদায়কারীদের মধ্যে কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজলোয় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজলোসহ আরও কয়েকটি উপজলোর বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর সাত গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছেন মুসলমানদরে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আজ রোববার সকাল সাতটায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনয়িনরে উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজয়িা দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পৌর শহররে নাইয়াপট্টি, ধানখালী, চম্পাপুর,লালুয়া, উত্তর লালুয়া মাঝি বাড়ি, লতাচাপলি ও ফুলতলী বাজারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ছে। এখানকার আগাম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরচিতি। প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন তাঁরা।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামেও আজ রোববার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামে মুসল্লিরা আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

এদিন সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা ইসহাকের (র.) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। 

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৯ গ্রামের একাংশ মুসুল্লিরা পালন করেছেন ঈদুল আজহা। এদিন সকালে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জেলার  সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া, গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম খামারবাড়ি গ্রামে মুসল্লিরা আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। 

প্রতিটি জামাতে শতাধিক করে মুসল্লী অংশগ্রহণের পাশাপাশি ২০ থেকে ৩০ জন করে নারী মুসুল্লী পর্দার আড়ালে একই জামাতের সহিত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর পারস্পরিক কোলাকোলি শেষে তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে। এরপর আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকেন সারাদিন।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকার একাংশ লোকজন সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।

চরশেরপুরের বামনেরচরের মুসুল্লি আজগর আলী বলেন, “আমরা খুবই আনন্দের সাথে এলাকার সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করছি। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমাদের গ্রামে কয়েকবছর যাবত ঈদ করা হয়।”

Link copied!