• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

৩৫ বছর ধরে পায়ে কাদা-ধুলা নিয়ে চলাচল 


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২১, ০৭:২৪ পিএম
৩৫ বছর ধরে পায়ে কাদা-ধুলা নিয়ে চলাচল 

রাস্তার বয়স ৩৫ বছর। মাটির কাঁচার সড়ক। বৃষ্টির সময় পানি আর শুকনোর সময়ও রাস্তায় ধুলার জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয় বোয়ালমারীর সাতৈর গ্রামের মধ্যপাড়াবাসীর।

রোববার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি করেন।

জানা যায়, সাতৈর গ্রামের মধ্যপাড়া দিয়ে দুই কিলোমিটার একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ লোক যাতায়াত করেন। মাঠের সাত থেকে আটশ বিঘা জমির ফসল এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান-নছিমন বুঝাই করে বাড়িতে আনেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে রাস্তা দিয়ে কৃষক ও পথচারীরা পায়ে হেঁটে যেতে পারেন না। বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত সকলকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শুকনোর সময়ও রাস্তায় ধুলার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই এলাকার মানুষদের।

সাতৈর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলিম হোসেন বলেন, “এই রাস্তাটির বয়স ৩৫ বছর। অথচ পাকা তো দূরের কথা একখানা ইটও আজ পর্যন্ত কেউ বসায়নি। এই এলাকার মানুষ মাঠের সকল ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আনে। বৃষ্টির কারণে কৃষক ও পথচারীদের কষ্টের সীমা নেই। ইট ও পাকার জন্য অনেক জায়গায় কথা বলেছি। কেউ ফিরেও তাকাইনি রাস্তার দিকে। তাই এলাকাবাসী রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানান।”

সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুজিবর রহমান বলেন, “আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে ওই এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা নেই।”

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ বলেন, এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। চলতি অর্থবছরেই রাস্তাটি পাকাকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।