নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিশেষ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের আবদুল মালেকের ছেলে মো. ইলিয়াস, একলাসপুর ইউনিয়নের আবুল বাশারের ছেলে মিজানুর রহমান এবং গনিপুরের নুর নবী।
এছাড়াও একলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,“আমরা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদেরকে শনাক্ত করি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করি।”
পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৪টি মামলায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়। তারা চৌমুহনী ডিবি রোডে (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক) এসে হিন্দুদের দোকানপাট, মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়।
এ সময় বিজয়া পূজামণ্ডপ এলাকায় হামলায় যতন সাহা (৪২) এবং ইসকন মন্দিরে প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬) নামের দুজন নিহত হন।
এ ছাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার, চার পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।