• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

খেলার মাঠে শিক্ষকের মারপিটে শিক্ষার্থী আহত


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৪:০৩ পিএম
খেলার মাঠে শিক্ষকের মারপিটে শিক্ষার্থী আহত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছেলের পক্ষ নিয়ে এক শিক্ষকপিতা অন্য শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারত্মক আহত করেছেন।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) আহত শিক্ষার্থী তৌফিক জামান মৃদুল তার বাড়িতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে কথাগুলো বলেছে। এরআগে ১১ আগস্ট উপজেলার সিতাইকুণ্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা চলার সময় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

মৃদুল উপজেলার সিতাইকুণ্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। উপজেলার সিতাইকুণ্ড গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।

মারধরের ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।

মৃদুল বলেছে, “১১ আগস্ট বিদ্যালয় মাঠে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার প্রথমার্ধে নবম শ্রেণির দল অষ্টম শ্রেণির দলকে ৩টি গোল দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তামিম হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে আমার কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তামিম আমাকে লাথি মারে। এ সময়ে আমিও তামিমকে লাথি মারি। খেলার মাঠে এ দৃশ্য দেখে তামিমের বাবা স্কুলশিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন দৌড়ে মাঠে গিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। স্যারের হাতে পায়ে ধরেও ক্ষমা পাইনি। আমি এখন চলা ফেরা করতে পারি না।”

আহত ওই শিক্ষার্থী আরও বলেছে, “আমাকে বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। এখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে অর্থের অভাবে বাড়ি নিয়ে আসে।”

অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার ৫২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এ বিষয়ে শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদার কাছে জানতে চাওয়া হলে মৃদুলকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, “মৃদুল আমার ছেলেকে মারধর করায় আমি তাকে মারধর করেছি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় সালিস বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

মৃদুলের চাচা হাফিজুর রহমান বলেন, “খেলার মাঠে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। একজন শিক্ষক কিভাবে এরকম সামান্য ঘটনায় একটি এতিম ছেলেকে মারধর করে। তিনি কোনো ভাবেই কাজটি ঠিক করেনি। মৃদুল এখনো অসুস্থ। হাঁটতে চলতে পারে না। মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।”

সিতাইকুণ্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তছির আহম্মেদ বলেন, “মৃদুল একটি ভালো ছেলে। ভালো খেলোয়াড়। তাকে যে ভাবে মারধর করেছে এটা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি। এটা আমরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা তাকে মারধরের সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মৃদুলকে মারধরের ঘটনার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের এসআই মুরাদ হোসেন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”