পিআর (আনুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতি সংবিধানে নেই। আইনেও নেই। আমরা শাসনতন্ত্র এবং আইন দ্বারা গাইডেড। এর বাইরে আমরা যেতে পারি না। এই রকম যদি আইন হয়, শাসনতন্ত্র যদি পরিবর্তন হয় সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এটা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। এটা রাজনীতিবিদদের ব্যাপার। আমরা এর মধ্যে ঢুকতে চাই না, বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
শনিবার সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উক্ত অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।
এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনী রোডম্যাপ। এআইয়ের অপব্যবহার বন্ধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জেতার সুযোগ নেই। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হবে, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।