শ্লীলতাহানির পর বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
আটক দুজন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক ছাত্রী চট্টগ্রামগামী লোকাল সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাসে শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ফেলে দেন।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আটক হওয়া অভিযুক্ত দুজনের একজনের নাম মো. আলী হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরুড়া। অন্যজন হলেন মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

জানা যায়, ওই ছাত্রী আলেখারচর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে সেন্ট মার্টিন বাসে ওঠেন। এ সময় বাসে কোনো যাত্রী না থাকায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড যাওয়ার পথে গাড়িতে থাকা হেলপার ও তার সহযোগী আরও দুজন তার হাত-পা বেঁধে গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। এ সময় তার সঙ্গে যৌন হয়রানির পাশাপাশি তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস থেকে একজনকে পড়ে যেতে দেখে তারা বাস আটকান। এ সময় গাড়িতে থাকা ৫ জনের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যান। বাকি দুজনকে আটক করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসলে অভিযুক্তদের মারধর করেন। স্থানীয়রা পুলিশকে কল দিলে তারা এসে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিয়ে বিচার করতে চান এমনটা বললে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে আমরা মোবাইল কোর্ট অনুযায়ী দুই বছরের জেল দিয়েছি। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হবে।