২৫ বছর বয়সী টেনিস তারকা মেয়েকে কেন গুলি করে মারলেন বাবা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ১১:২৫ এএম
হরিয়ানার টেনিস তারকা রাধিকা ইয়াদব। ছবি: সংগৃহীত

অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও রান্নাঘরে রান্না করছিলেন হরিয়ানার রাজ্যস্তরের টেনিস তারকা রাধিকা ইয়াদব। হঠাৎ পেছন থেকে গুলি করেন তার বাবা দীপক ইয়াদব। এর মধ্যে তিনটি গুলি লাগে রাধিকার পিঠে। গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়া ২৫ বছর বয়সী এ টেনিস তারকা পরে মারা যান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দীপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ খুঁজে পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়ের টেনিস খেলা নিয়ে মানুষের কটূক্তির জেরে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন দীপক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েক দিন আগে একটি ম্যাচের সময় কাঁধে আঘাত পান রাধিকা। সে আঘাত প্রভাব ফেলে ২৫ বছর বয়সী এ টেনিস তারকার পারফরম্যান্সেও। কোর্টে সুবিধা করতে পারছিলেন না বলে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা চিন্তা করেন রাধিকা। এজন্য একটি টেনিস একাডেমি খোলেন হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা রাধিকা।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের টেনিস একাডেমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি বাবার। মেয়ের টাকায় বেঁচে আছেন বলে মানুষজন ব্যঙ্গ করতেন দীপককে। সে কারণে একাডেমি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রাধিকাকে চাপ দিতে থাকেন তার বাবা।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, রাধিকা একাডেমি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রায়ই মেয়ের ওপর প্রচণ্ড রেগে যেতেন দীপক। গত কয়েক দিনে এ ধরনের ব্যঙ্গবিদ্রূপ আরও বেড়ে গেলে রাধিকাকে আবারও একাডেমি বন্ধের কথা বলেন দীপক। কিন্তু রাধিকা রাজি হননি।

অভিযুক্ত দীপক ইয়াদব পুলিশকে বলেছেন, ‘যখন আমি ওয়াজিরাবাদ গ্রামে দুধ আনতে যেতাম, মেয়ের টাকায় চলি বলে মানুষ আমাকে কটাক্ষ করত। এটা আমাকে ভীষণ পীড়া দিত। এমনকি কেউ কেউ আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলত। আমি মেয়েকে বলেছিলাম একাডেমি বন্ধ করতে। কিন্তু সে রাজি হয়নি।’