বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১১:০৩ এএম

শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক স্মারকে জানায়— শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন রিট আবেদন করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং ওই স্মারকের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীনভাবে স্থগিত করেন।

রুলে জানতে চাওয়া হয়— ১৭ জুলাইয়ের স্মারকটি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এবং ২০০৮ সালের বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে কেন পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হবে না।

চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার আদালত রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন, অর্থাৎ রিট আবেদনকারীদের দাবিই বহাল রাখেন।

রায়ে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।
এতে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমানভাবে বৃত্তির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে এবার থেকে বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ