আয়কর রিটার্নে ব্যাংক ও নগদ সঞ্চয় দেখানো বাধ্যতামূলক, দেখাবেন যেভাবে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:২০ এএম

প্রতিবছর করদাতাদের তাদের আয় ও খরচের পুরো চিত্র আয়কর রিটার্নে দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে বছর শেষে কিছু সঞ্চয় থাকলে তা রিটার্নে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই সঞ্চয় ব্যাংক হিসাব ও নগদ—উভয় ক্ষেত্রেই প্রদর্শন করা প্রয়োজন। কারণ পরবর্তী বছর ওই টাকা পুনরায় আয় ও ব্যয়ের হিসাবের অংশ হিসেবে যোগ হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, ব্যাংকে থাকা টাকা ও হাতে থাকা নগদ আলাদা খাত, তাই রিটার্নে দেখানোর সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

ব্যাংক হিসাবের টাকা দেখাতে হলে ৩০ জুন তারিখের স্থিতি অনুযায়ী তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একাধিক ব্যাংক হিসাব থাকলে প্রতিটি হিসাবের স্থিতি আলাদা করে দেখাতে হবে।

অনেকে আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের টাকা নিজের ব্যাংকে জমা রাখেন। এতে লেনদেনের সংখ্যা বাড়ে এবং ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই ব্যাংকে শুধুমাত্র নিজের অর্জিত অর্থ রাখতে হবে। যদি অন্যের টাকা আসে, তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ লাখ টাকার যেকোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা বাধ্যতামূলক।

রিটার্নে অতিরিক্ত নগদ দেখানো বিপজ্জনক হতে পারে। অস্বাভাবিক বেশি নগদ থাকলে কর কর্মকর্তারা সন্দেহ করতে পারেন এবং ফাইল নিরীক্ষায় (অডিটে) পড়তে হতে পারে। অনেক করদাতা আংশিক বোঝাপড়া ছাড়াই রিটার্নে ২০–৩০ লাখ টাকা নগদ দেখান, যা ভুল।

বাসায় নগদ রাখার সীমা সাধারণত সীমিত। তাই ৩০ জুন তারিখে হাতে থাকা প্রকৃত নগদ পরিমাণই রিটার্নে দেখাতে হবে।

আইনের ফাঁকফোকরের কারণে কেউ কেউ নগদ বেশি দেখান। উদাহরণস্বরূপ, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সমবায়মূলকভাবে অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে দলিলাদি না থাকলে রিটার্নে দেখানো যায় না। তবে পরবর্তীতে জমি বা অন্যান্য সম্পদ কিনলে ওই অর্থকে বৈধভাবে বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো যায়। সেক্ষেত্রে নগদ থেকে বিনিয়োগ করা অর্থও বৈধ হিসাবের মধ্যে ধরা হয়।