সন্তানের সুরক্ষার জন্য যেভাবে দোয়া করবেন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সন্তান প্রতিটি মা-বাবার জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাদের সুস্থতা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিটি মা-বাবার মনে সবসময়ই উদ্বেগ কাজ করে। সন্তানকে খারাপ দৃষ্টির (নজর লাগা), বিপদ-আপদ, শয়তানের প্ররোচনা কিংবা নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক বিপদ থেকে রক্ষা করতে আল্লাহর কাছে দোয়া করার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামে সন্তানদের জন্য দোয়া করার একাধিক উপায় ও পদ্ধতি রয়েছে।

সন্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য কোরআন ও হাদিসে দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। 

নজর লাগা, শয়তানের কুপ্রভাব ও সব রকমের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার দোয়া
উচ্চারণ: আউযু বিকালিমাতি তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানি ওয়া হাম্মাতি ওয়া মিন কুল্লি লাম্মাহ্।

বাংলা অর্থ:
"আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং হিংসুক দৃষ্টির অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।" (সহীহ বুখারী, হাদিস ৩৩৭১)

এই দোয়াটি হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইনের জন্য নিয়মিত পাঠ করতেন।

সূরা ফালাক ও সূরা নাস
এই দুটি সূরা সন্তানের গায়ে ফুঁ দিয়ে পড়া যেতে পারে প্রতিদিন সকালে ও রাতে। এতে দুনিয়ার সব ধরনের অশুভ প্রভাব, জিন, শয়তান, হিংসা, অন্ধকার শক্তি ও খারাপ দৃষ্টির বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা গড়ে ওঠে।

ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণ কামনায় হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দোয়া
আয়াত: রাব্বি হাব লি মিনাম সালিহিন (সূরা আস-সাফফাত, আয়াত ১০০) বাংলা অর্থ:
"হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সৎ সন্তান দান করুন।"

এই দোয়াটি সন্তান কামনা বা সন্তান জন্মের আগেই পড়া যেতে পারে। কিন্তু যারা সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তারাও সন্তানের সৎ চরিত্রের জন্য এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন।

সন্তানকে ফজরের পর ও ঘুমের আগে দোয়া করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সকালে দোয়া করলে সারাদিনের জন্য আল্লাহর হেফাজত থাকে। রাতে দোয়া করলে সন্তান রাত্রিকালীন অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে।

যেভাবে আমল করবেন

রুজু অবস্থায় থেকে দোয়া করা উত্তম। তবে রুজু না থাকলেও সন্তানের প্রতি দোয়া করা যাবে।

সন্তানের মাথায় বা শরীরে হাত রেখে দোয়া করুন। এতে ভালোবাসা ও বরকত দুটোই হয়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ সন্তান শুনলে তার মন ও আত্মা শান্ত হয় এবং হেদায়েতের পথে আগায়।

ঘরে সূরা বাকারা নিয়মিত চালু রাখলে জিন বা শয়তান দূরে থাকে, যা সন্তানদের সুরক্ষায় সহায়ক।