ভারতের বহুল আলোচিত ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার অন্যতম মুখ্য চরিত্র ‘ফুনসুখ ওয়াংড়ু’। বাস্তবে যিনি সোনম ওয়াংচুক। সম্প্রতি ভারতের লাদাখকে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে চলমান তীব্র আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনতাকে উসকে দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াংচুকের অলাভজনক ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখের’ ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট বা এফআরসিএ-২০১০-এর অধীনে বিদেশ থেকে তহবিল গ্রহণের জন্য নিবন্ধন বাতিল করার একদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। গত দুই দিন আগে লাদাখকে রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে চারজন নিহত এবং নিরাপত্তা কর্মী সহ ৫০ জনেরও বেশি আহত হন। এ সহিংসতাকে উসকে দেয়াসহ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়াংচুক।
তিনি বৃহস্পতিবার এনডিটিভিকে বলেন, তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বিদেশি অনুদান গ্রহণ করে না, বরং জাতিসংঘ, সুইস এবং ইতালীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করেছে এবং সমস্ত কর প্রদান করেছে। তিনি বলেন, ‘তারা এটিকে বিদেশি অনুদান হিসেবে ভুল করেছে। আমি এটিকে তাদের (কেন্দ্রের) পক্ষ থেকে ভুল বলে মনে করি এবং তাই আমার এতে আপত্তি নেই।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এটা স্পষ্ট যে ওয়াংচুক তার উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনতাকে উসকে দিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে এই সহিংস ঘটনার মধ্যে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা না করেই অনশন ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের দিকে রওনা হন।’
রাজ্যের মর্যাদা ছাড়াও, ওয়াংচুক লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় আনারও দাবি করছেন, যেখানে একটি স্বায়ত্তশাসিত শাসন কাঠামোর মাধ্যমে উপজাতি অঞ্চলের প্রশাসনের ব্যবস্থা থাকবে।
থ্রি ইডিয়টস সিনেমার সঙ্গে কীভাবে জড়িত সোনম ওয়াংচুক নাম:
সোনম ওয়াংচুক একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হওয়ায় ২০০৯ সালে তার জীবনকাহিনি নিয়ে নির্মাণ করা হয় বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমা। এতে ফুনসুক ওয়াংড়ু নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত তারকা আমির খান। সিনেমাটিতে তিনজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের জীবনকে অনুসরণ করা হয়েছে। যারা তাদের আবেগ অনুধাবনের পাশাপাশি শিক্ষা ও সামাজিক প্রত্যাশার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছেন।