ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পেছনের কারণ অবশেষে প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ২৭০ জন প্রাণ হারান। গত ১২ জুন প্লেনটি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়।
ভারতের প্লেন দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তে বিমানের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ইঞ্জিনও বন্ধ হয়ে যায়।
তদন্তকারীরা বিমানের ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণ করে জানতে পারেন, বিমানের জ্বালানি সরবরাহের দুটি সুইচ এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের ব্যবধানে চালু অবস্থা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিমানটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৮০ নটিক্যাল মাইলের বেশি।
ব্ল্যাকবক্সে পাওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পাইলট অপর পাইলটকে প্রশ্ন করেছিলেন—তিনি কেন জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করেছেন। উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি কোনো সুইচ বন্ধ করেননি। পরে দ্রুত সুইচগুলো আবার চালু করা হয়, এবং ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ শুরু হলেও তখন আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্লেনের উড্ডয়নে কোনো ত্রুটি ছিল না এবং ব্যবহৃত জ্বালানির গুণগত মানও যথাযথ ছিল।