প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিতে চান, গুজব বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জারদারির পদত্যাগের প্রচার বিদ্বেষপ্রসূত। কারা এই অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে, তা সরকারের অজানা নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নাকভি লিখেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছি, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ কিংবা সেনাপ্রধানের তার স্থলাভিষিক্ত হওয়া নিয়ে কোনো পরিকল্পনা বা আলোচনা হয়নি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বের সঙ্গে দৃঢ় এবং সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখছেন। কে এই মিথ্যা ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে এবং এতে কার লাভ, তা আমি জানি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের একমাত্র লক্ষ্য পাকিস্তানের সক্ষমতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘যারা এই মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত, তারা চাইলেই বিদেশি শত্রুশক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের পাকিস্তানকে পুনরায় শক্তিশালী করতে যা প্রয়োজন, তা-ই করব, ইনশা আল্লাহ।’

এর আগে একই দিন ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন দলের সিনেটর ইরফান সিদ্দিকী জিও নিউজের ‘জিও পাকিস্তান’ অনুষ্ঠানে জারদারির পদত্যাগের খবরকে ‘টেবিল স্টোরি’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এই গুজবগুলো সংবাদ নয়। যেমনটা বলা হচ্ছে, জারদারি পদত্যাগ করছেন, ইমরানের ছেলে আসছেন, নওয়াজ শরিফ আদিয়ালা যাচ্ছেন—এগুলো সবই ভুয়া খবর। জারদারি সরকারের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেননি এবং একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি সচেতন।

চলতি বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যৌথভাবে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে অভিষিক্ত করেন। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ‘বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও ব্যতিক্রমী কৌশলগত দক্ষতার’ স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর সেনাপ্রধানের আয়োজিত এক নৈশভোজে ফিল্ড মার্শাল মুনির রাজনৈতিক নেতৃত্বের ‘কৌশলগত দূরদৃষ্টি’র প্রশংসা করেন, বিশেষ করে, ভারতের বিরুদ্ধে ‘মারকা-ই-হক’ অভিযানে।