ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জেরে কেয়া বেগম (২০) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধু উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের আরুয়া গ্রামের মো.হায়দার সিকদারের স্ত্রী। আরুয়া এলাকার সিকদার বাড়িতে তার স্ত্রী কেয়া বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন।
প্রতিবেশিরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে স্বামী হায়দার সিকদার কেয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। দুইদিন স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পানাহার থেকে বিরত ছিলেন মৃত কেয়া বেগম। শনিবার (১৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে নেশাগ্রস্ত স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে রাগে ক্ষোভে বিষপান করে। এ অবস্থা দেখে পরিবারের অন্য লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলায় নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কেয়া বেগমের পিতা মো.নান্নু খান জানায়, তার মেয়েকে দুই আড়াই বছর আগে একই গ্রামের আউয়াল শিকদারের ছেলে হায়দার শিকদারের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জেরেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার ও নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এই নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক হলেও ঈদের আগে তার মেয়ে কেয়া বেগম বাবার বাড়িতে ছিল।
জানা যায়, মৃত কেয়া তার বাবা ও মাকে জানিয়েছিল ‘আমি আর ওই বাড়িতে যাবো না। আমার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। তারপর অনেক বুঝিয়ে মেয়েকে পাঠিয়ে ছিলেন বাবা নান্নু হাওলাদার।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি। বরিশালে লাশের ময়নাতদন্ত হবে।”