বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা বরখাস্ত

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ০১:২৫ পিএম

পিরোজপুরের নেছারাবাদে বলদিয়া ইউনিয়নের সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।

নেছারাবাদ শিক্ষা অফিসের শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে (শামীমা ইয়াছমিন) চিঠির মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’ কী কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, প্রশ্ন করে পুনরায় জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অফিসের মেইলে বরখাস্তের আদেশ এসেছে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে। তবে অফিস টাইমে চিঠি পড়ে জানতে পারবো। এর আগে কারণ না জেনে বলা যাবে না।’

ওই শিক্ষিকার স্বামী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছে আপনার একটা চিঠি আছে। অফিসে এসে নিয়ে যাবেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানোর কোনও সরকারি নির্দেশনা ছিল না বলে আমার স্ত্রী ছবি নামায়নি। পরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেয়াল থেকে ছবি নামাতে বলেছেন বিধায় বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানো হয়েছে। এখন এতে যদি আমার স্ত্রীর সমস্যা হয় তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। এমন কোনও পরিস্থিতি হয়নি যে আমার স্ত্রীর চাকরি যাবে। ছবিটি না নামানোতে যদি চাকরি যায়, তাহলে দেশে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে—তা বোঝা যায়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার বিরোধিতা করলে ওই শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার বাবা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারবো না।’