আমরা চাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

রোববার (১১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মান্দারী ইউনিয়নের মিয়াপুর ভূঁইয়া বাড়ি নূরানী মাদ্রাসায় ওয়ার্ডভিত্তিক নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বিএনপির কথার সঙ্গে মিলে গেছে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে ডাক দিয়ে সরকার যদি আলোচনা করতো তাহলে বহু আগেই এটা নিষ্পত্তি হতে পারতো।”

তিনি বলেন, “এখন ৯ মাস হয়ে গেল। যেটা হয়েছে, বিএনপি যা চেয়েছে তাই হয়েছে। আলোচনামাফিক বিচার-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাধান নিয়ে আসতে হবে।”

এ্যানি বলেন, “হাসিনার বিচার দ্রুত হলে গুম-খুনের একটা ফলাফল আসবে। বিচারের রায় হবে। গণহত্যার বিচার হবে, বিচারে একটা রায় হবে। যারা গণহত্যা-গুম-খুন করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আমরা চাই।”

তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সবার আগে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার করতে হবে। এটা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, শাহবাগে, যমুনায় বারবার মিছিল-মিটিং করতে হলে, গাড়ি আটকাতে হলে, এতে মানুষের কষ্ট হবে। এটি জনগণ চায় না, প্রত্যাশা করে না। জনগণ চায় টেবিলে আলোচনা করে শেষ করেন। টেবিলে আলোচনাটা জরুরি ছিল। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করলে এটা নিষ্পত্তি আরও আগেই হতো।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। আমরা যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সেখানে যদি বিন্দুমাত্র মতভেদ তৈরি হয় মানুষ মনে কষ্ট পাবে। এই কষ্ট আমরা মানুষকে দিতে চাই না। আমরা ১৭ বছরের বিচার চেয়েছি। গণহত্যা-গুম-খুনের বিচার চেয়েছি। দুর্নীতি-টাকা পাচারের বিচার চেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ফসল হলো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার ৯ মাস দায়িত্ব পালন করছে। ৯ মাসে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। বিচার প্রক্রিয়া এতো স্লো কেন, কারণ কী? হাসিনার বিচার যদি দৃশ্যমান আর দ্রুত হয় তাহলে দেশের মানুষ খুশি হবে, আশ্বস্ত হবে।”

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন ও সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।