আগামী বিশ্বকাপেই দুই প্রজন্মের দুই গোলমেশিন মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড প্রথমবার কোনো বড় টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন। আট ম্যাচে ১৬ গোল করে তিনি নরওয়েকে টেনে তুলেছেন ১৯৯৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপে। ‘টেনে তোলা’ কথাটা অতিরঞ্জিত নয়। কারণ কোনো মহাদেশেই বাছাইপর্বে হালান্ডের চেয়ে বেশি গোল আর কেউ করতে পারেননি।
হালান্ডের মতো গোলের পর গোল করে যেতে পারেন এমন খেলোয়াড় খুব কমই আছে। তাদের মধ্যে একজন আছেন গ্রুপ আই–এ তারই প্রতিপক্ষ হিসেবে। নরওয়ের সঙ্গে এই গ্রুপে আছে সেনেগাল এবং একটি প্লে-অফ জয়ী দল। আর আছে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স। এর মানে, প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগার সেরা দুই গোলদাতা প্রথমবার জাতীয় দলে একে অপরের বিপক্ষে নামবেন।
ফ্রান্সের মাত্র ২৬ বছর বয়সী এমবাপ্পের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙে ফেলতে আর চাই দুই গোল। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি লিগে ১৫ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। হালান্ড নরওয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা অনেক আগেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড়ের চেয়ে তার গোল বেশি ২২টি। সিটির হয়ে চলতি তিনি করেছেন ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল।
ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ বলেন, ‘এটা হবে দারুণ একটা লড়াই। কিলিয়ান আর হালান্ড দুজনই বিশ্বমানের তারকা। তারা দুজনই গোলদাতা তালিকায় শীর্ষে থাকার লড়াই করবে।’
দুই গোল মেশিন যখন বিশ্বকাপে নামবেন একে অপরের বিপক্ষে, তখন রোমাঞ্চে ভরা গোলবন্যার আশা করাই যায়।