সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল লিটন দাসের দল। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ম্যাচেই সমতা ফেরায় টাইগাররা। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। যেখানে ব্যাটে-বলে আইরিশদের উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে পল স্টার্লিং। জবাবে ১৩ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিমের সঙ্গে নতুন সঙ্গী সাইফ হাসান যোগ করেন ৩৮ রানের জুটি। ১৪ বলে ১৯ রান করে সাইফ ফিরলে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী সংযোগ।
তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ হন অধিনায়ক লিটন দাস। মাত্র ৬ বলেই ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে দল কিছুটা চাপে পড়লেও সেই পরিস্থিতি সামাল দেন তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। দুজনের শান্ত অথচ কার্যকর ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের আগে ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ এক দিন কাটান তানজিদ। একাই নিয়েছেন ৫টি ক্যাচ, যা টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিল্ডারের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। রেকর্ড গড়ার পর ব্যাট হাতে তিনি করেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৫ রান। ইমনও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ২৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
আইরিশ ইনিংসে শুরু ভালো, শেষটা হতাশা
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ড শুরুতেই পায় দ্রুত রান। প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানকে ১৩ রান দেন দুই ওপেনার। টিম টেক্টর আক্রমণাত্মক থাকলেও শরিফুল ইসলামের বলে ১৭ রান করে আউট হন।
পঞ্চম ওভারে আয়ারল্যান্ড পৌঁছে যায় ৫০ রানে। তবে দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই মুস্তাফিজুর রহমান ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে। নিজের ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ঘটে অদ্ভুত এক ঘটনা—হ্যারি টেক্টর সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে বল ব্যাটে লাগিয়ে ফেলেন, সেখান থেকে বল গড়িয়ে আসে স্টাম্পের দিকে। ব্যাটার চেষ্টা করেও পা দিয়ে সরাতে পারেননি। অদ্ভুতভাবেই বল লেগে যায় স্টাম্পে, মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ফিরে যান হ্যারি। পাওয়ার প্লে শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৫১।
এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি আইরিশ মিডল অর্ডার। পল স্টার্লিং একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত ব্যবধানে। লরকান টাকার, ক্যাম্পার—কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। শেষদিকে ডকরেল (১৯) ও ডেলানি (১০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই।