আগেভাগেই উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে উঠে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল পর্তুগাল। স্পেন নয়তো ফ্রান্স যে কোনো একদলকে ফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল যেভাবে হলো তাতে নিশ্চিতভাবেই পর্তুগালের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ার কথা। কেননা স্পেন ও ফ্রান্স রীতিমত গোল উৎসবে মেতে উঠলো। ৯ গোলের ম্যাচ উপহার দিল দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে গেল স্পেন।
স্পেন মানেই লামিন ইয়ামাল। লামিন ইয়ামাল মানেই স্পেন। বর্তমান সময়ের ব্র্যান্ড। এই ম্যাচেও তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল ফরোয়ার্ড নিজের ঝলক দেখিয়েছেন। দুই গোল পেয়েছেন ইয়ামাল। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে।
ম্যাচের শুরু থেকে একক আধিপত্য স্পেনের। প্রথমার্ধের ২২ ও ২৫ মিনিটে গোল করেন নিকো উইলিয়ামস ও মাইকেল মেরিনো। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৪ মিনিটে ইয়ামাল ও পরের মিনিটে পেড্রি গোল করেন। ব্যবধান তখন ৪-০। একপেশে লড়াই বলতে যা বুঝায় তা-ই হচ্ছিল।
কিন্তু হাল ছাড়ল না ফ্রান্স। ৪ গোলে পিছিয়ে থেকে জবাব দিল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ৪ গোলের শোধও দিল তারা। কিন্তু ইয়ামাল ৬৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পাওয়ায় স্পেনের ফাইনাল ভাগ্য খুলে যায়। ম্যাচের ভাগ্য লিখা হয়ে যায় ইয়ামালের দ্বিতীয় গোলে।
ফ্রান্সের হয়ে জালের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে, হায়ান শের্কি ও রান্দাল কোলো মুয়ানি। অন্যটি ছিল স্প্যানিশদের আত্মঘাতী। দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল করলেও শুরুতে তাদের পারফরম্যান্সে তেমন দম ছিল না। সেই সুযোগটি নিয়ে স্পেন শুরু থেকেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে।
আগামী রোববার মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শিরোপা লড়াইয়ে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের মুখোমুখি হবে স্পেন। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে পর্তুগাল ২-১ গোল হারায় জার্মানিকে।