১০ জেলায় বন্যার আশঙ্কা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত

আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরায় বুধবার (২০ আগস্ট) থেকে আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় স্থানভেদে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিশেষ বার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে দুই জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

২১ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, মুহুরী, সিলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালি খাল নদীর পানি বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

এক‌ই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, লোভাছড়া, জাদুকাটা ও ঝালুখালি নদীর পানিও সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। 

বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

এদিকে উজান থেকো বৃষ্টির পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট অতিক্রম করে ফেলেছে। ১০৯ ফুট হলে বাঁধের স্পিলওয়ের ওপর দিয়ে পানি উপচে পড়বে। এরই মধ্যে বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর উপজেলার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে পানি উচ্চতা ১০৮ দশমিক ২৫ ফুট (এমএসএল) মিনস্ সি লেভেল অতিক্রম করেছে। এ পানির উচ্চতা ১০৯ ফুট এমএসএলে গেলে বাঁধের পানি উপচে পড়বে।

কাপ্তাই কর্নফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমরা বিরতিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টা পানি উঠানাম পর্যবেক্ষণ করছি। পানি বাড়তেছে। পানি বাড়ার গতি ঊর্ধ্বগতি হলে পানি ছাড়া হবে।

চলতি বছরের মধ্যে গত ২২ জুলাই প্রথমবারের মতো কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা ১০০ ফুট মিনস সি লেভেল অতিক্রম করে। হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে এরই মধ্যে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু হয়ে গেছে। যা থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।