‘এনসিপির অনেকেরই রাজনীতি নাই হয়ে যেতে পারে’

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
শিবির নেতা সাদিক কায়েম

‘শিবিরের যে সকল ছেলেরা ছাত্রলীগে গুপ্ত আকারে প্রবেশ করত তারাই বেশি আগ্রাসী ছিল। হলে হলে ছাত্র নির্যাতন, শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিবির থেকে আগত ছাত্রলীগরাই সম্মুখ সারিতে থাকত’- গত শনিবার এমন মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। তার এ বক্তব্যে সমর্থন জানান আরও কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক। এদিকে তাদেরকে ধন্যবাদও জানিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রোববার আবার ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমের সঙ্গে হওয়া চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট ফেসবুকে প্রকাশ করে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন আব্দুল কাদের (যদিও চাটিং কাদেরের সাথে হয়নি বলে দাবি সাদিকের)। যেখানে ছাত্রলীগের হয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো কয়েকজনের বিষয়ে সাদিক কায়েম মেসেজ দিয়ে তদবির করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। এরই মাঝে সাদিক কায়েম কাদেরের এসব দাবির কড়া জবাব দিয়েছেন।   

এ ব্যাপারে রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে দেন সাদিক কায়েম। এই স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে তিনি ‘স্ক্রিনশট পলিটিক্স’-এর বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘স্ক্রিনশট পলিটিক্স শুরু হলে এনসিপি-বাগছাসে থেকে দিনরাত শিবির ব্যাশিং করা অনেকেরই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নাই হয়ে যেতে পারে!’


তিনি আরও বলেন, ‘কাদের যে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করেছেন সেই চ্যাট তার সাথে হয়নি। তা হয়েছে এনসিপির অন্য ব্যক্তিদের সাথে। আরেকজন ব্যক্তির সাথে হওয়া চ্যাটের স্ক্রিনশট আব্দুল কাদেরের মাধ্যমে অপব্যাখ্যা সহকারে পাবলিকলি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার মাধ্যমে ঘৃণ্যতম সংস্কৃতির সূচনা হলো।’

সাদিক বলেন, ‘এভাবে ব্যক্তিগত ফায়দা নেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত আলাপ বা প্রাইভেট ইনফরমেশন সামনে আনার সংস্কৃতি তৈরি হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অবিশ্বাস, অনাস্থার সৃষ্টি হবে। যা দীর্ঘ মেয়াদে গোটা জাতির জন্যই ক্ষতি বয়ে আনবে।’