গোপালগঞ্জে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম

গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে চার প্লাটুন বিজিবি।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। এ ঘটনার পর এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও এ হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।

এরপর হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই গোপালগঞ্জের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।

এরপর পৌরপার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।