মুক্তির পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশান-২-এর ভাড়া বাসা ফিরোজায় থাকছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে খালেদা জিয়ার বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে উঠবেন। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফিরোজা সংলগ্ন ১৯৬ নম্বর বাড়িটি সবুজ গাছগাছালিতে ভরা। বাড়িটির ভেতরের পরিবেশ শান্ত। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তারেক রহমান এই বাড়িতে উঠবেন কি না, সেটি তারা জানেন না।
তবে সূত্র বলছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই তিনি দেশে ফিরবেন। আর দেশে ফিরে এই বাড়িতেই উঠবেন। এ জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বাড়িটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তিন বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিংপুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ওই বাড়িতে।
গুলশান-২ গোলচক্কর পেরিয়ে অ্যাভিনিউয়ের শেষ মাথায় ১৯৬ নম্বর বাড়ি। সাদা রঙের দোতলা বাড়িটি তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানও লন্ডনে যাওয়ার আগে পরিদর্শন করে গেছেন। বাড়িতে মূল ভবন, সুইমিংপুল ছাড়াও সামনে অনেক খোলা জায়গা রয়েছে।
জানা গেছে, বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন।
আগে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমানের বসবাসের জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।