হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সজল মিয়া হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দীন কাদির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই আদালতে ফতুল্লা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আবেদন করলে আদালত গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) একেএম ওমর ফারুক নয়ন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আইভীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানি হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, “সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলায় এজাহারে আইভীর সম্পৃক্ততার কোনো উল্লেখ নেই। আইভীর বিরুদ্ধে কোন ধারায় অভিযোগের বর্ণনা নেই। আমরা রিমান্ড নামঞ্জুর আবেদন করেছিলাম। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “একটি হত্যা ও একটি হত্যার চেষ্টা মামলায় আইভী হুকুমের আসামি। এরই মধ্যে রিমান্ডে আইভী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এদিন তার পক্ষে রিমান্ড নামঞ্জুর আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আবেদন মঞ্জুর করেছেন।”
এর আগে গত ৯ মে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[116568]
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা আছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।