আশুরার রোজা কয়টি রাখতে হয়

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত

আরবি হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম। এ মাসের ১০ তারিখের দিনকে আশুরা বলে। মহররম মাসকে হাদিসে আল্লাহর মাস বলে সম্মানিত করা হয়েছে। সেই সম্মানিত মাসের ১০ তারিখও ঐতিহাসিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশুরার রোজার গুরুত্ব-ফজিলত, কবে ও কয়টি রাখতে হবে?

আশুরার দিনে রোজা মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ। কেউ যদি এদিন রোজা রাখে তাহলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা রোজাদারের আগের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম)

আশুরার রোজা রাখার পাশাপাশি নিয়মিত নামাজ আদায়, বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করা এবং সৎ কাজ করাও ফজিলতের। এসব কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে গত শুক্রবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হয়। সে অনুযায়ী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

বিভিন্ন হাদিসে আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত উল্লেখ রয়েছে। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহর কাছে আমি আশা পোষণ করি, তিনি আশুরার রোজার মাধ্যমে আগের এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (তিরমিজি : ৭৫২)

পবিত্র আশুরার ২টি রোজা রাখতে হবে। এ হিসাবে ৯ মহররম শনিবার (৫ জুলাই) ও ১০ মহররম রোববার (৬ জুলাই) অথবা ১০ মহররম রোববার (৬ জুলাই) ও ১১ মহররম সোমবার (৭ জুলাই) ২টি রোজা রাখতে হবে।

এ ক্ষেত্রে পবিত্র আশুরার দিন একটি রোজা এবং এর আগে অথবা পরের দিন একটিসহ মোট ২টি রোজা রাখতে হবে।

রোজা রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

১. শুধু ১০ মহররম রোজা রাখা – এটিই ন্যূনতম।
২. ৯ ও ১০ মহররম রোজা রাখা – এটি উত্তম ও সুন্নতের অনুসরণ।
৩. মহররম মাসে আরও বেশি রোজা রাখা – যত বেশি রাখা যায়, তত ভালো, কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন : রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমে (সহিহ মুসলিম)

পবিত্র আশুরার রোজা রাখা নিয়ে বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল যেন না হয় সেজন্য মহররমের ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রাখ। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)