যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করছে কাতার

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০২:০১ পিএম
ইডাহো বিমানঘাঁটিতে এফ-১৫ ই

মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সামরিক অংশীদারত্ব জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার জানিয়েছেন, কাতারের বিমানবাহিনী ইডাহোর মাউন্টেন হোম বিমানঘাঁটিতে একটি নতুন অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ অবকাঠামো গড়ে তোলার অনুমতি পাচ্ছে। এ স্থাপনায় কাতারের নতুন কেনা এফ-১৫ যুদ্ধবিমান এবং পাইলটরা অবস্থান করবেন এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।

পেন্টাগনে কাতারের প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাউদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠকের পর হেগসেথ এই চুক্তিকে ‘অংশীদারত্বের আরও একটি দৃষ্টান্ত’ হিসেবে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এ স্থানটি কাতারি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান এবং পাইলটদের একটি কন্টিনজেন্টকে হোস্ট করবে, যা আমাদের সম্মিলিত প্রশিক্ষণকে আরও উন্নত করবে এবং আমাদের সামরিক সক্ষমতা ও আন্তপরিচালনা সক্ষমতা, অর্থাৎ যৌথভাবে কাজ করার সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়াবে।’ তিনি কাতারি মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘এক্সেলেন্সি, আপনি আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি এমন এক সময়ে ঘোষিত হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র-কাতার সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ন্যাটোবহির্ভূত আরব মিত্র হিসেবে কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযানে কাতার সমর্থন জুগিয়েছে, বিশেষ করে জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার সময়। একই সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনায় কাতার ‘উল্লেখযোগ্য ভূমিকার’ জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রশংসা পেয়েছে।

যদিও এই ঘোষণার কয়েক দিন আগে দোহায় বসবাসরত হামাস কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়েছিল। অবশ্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এর জন্য পরে ক্ষমাও চেয়েছেন।

এই স্থাপনায় স্থায়ীভাবে নিয়োজিত ১২টি এফ-১৫ কিউএ যুদ্ধবিমান, সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম এবং প্রায় ৩০০ অতিরিক্ত কাতারি ও মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মী থাকবেন।