দিল্লিতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলন

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে কোনো নারী সাংবাদিককে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে দেশটিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

বৃহস্পতিবার ভারত সফরে আসেন মুত্তাকি। পরদিন শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে ভারত ঘোষণা করে, কাবুলে তাদের টেকনিক্যাল মিশনকে আপগ্রেড করে দূতাবাসে রূপান্তর করা হবে। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

এ সময় জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’

তবে বিকেলে আফগানিস্তানের দূতাবাসে মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলেও তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এরপর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে সব নারী সাংবাদিকই ড্রেস কোড মেনে এসেছিলেন। অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীও এই ঘটনার নিন্দা করে প্রশ্ন তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদ-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে কোনো স্থান দেয় না, যারা ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক হামলা চালিয়েছে। তিনি পাকিস্তানের প্রতিও একই কাজ করার আহ্বান জানান।

মুত্তাকি বলেন, ‘তাদের একজনও আফগানিস্তানে নেই। দেশের এক ইঞ্চি জমিও তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। শান্তির জন্য আফগানিস্তান যেমন পদক্ষেপ নিয়েছে, অন্য দেশগুলোও যেন এমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।’

সাবেক মন্ত্রী পি. চিদম্বরম বলেন, নারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার খবর জানতে পেরে পুরুষ সাংবাদিকদের উচিত ছিল সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে বেরিয়ে আসা। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি যে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, পুরুষ সাংবাদিকদের তখনই বেরিয়ে যাওয়া উচিত ছিল যখন তারা দেখল যে তাঁদের নারী সহকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’