গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভিসা জটিলতা শুরু হয়। শুধু গুরুতর শারীরিক সমস্যা বা ব্যবসায়িক কাজের জন্য ভিসা মিলছে। তবে তাতেও থাকছে নানা রকমের শর্ত। যার কারণে বাংলাদেশিদের অভাবে কলকাতার মিনি বাংলাদেশের অবস্থা কার্যত অচল।
বাংলাদেশি পর্যটক কমে যাওয়ায় নিউমার্কেটের মতো নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও।
মার্কুইস স্ট্রিট এবং বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুর অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলো মূলত বাংলাদেশি রোগীদের ওপর নির্ভরশীল।
কলকাতার বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুর অঞ্চলে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্ৰস্ত হচ্ছে।
মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবকর্মী বরুন দাস জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। তবে গত আগস্ট মাসের পর থেকে যেভাবে রোগীর সংখ্যা কমেছিল, সেই তুলনায় সামান্য বেড়েছে। ভারতীয় দূতাবাস ভিসা ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি স্বাভাবিক করেনি, তাই রোগীরা সংখ্যা কম। আমরা আশা রাখবো দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের পরের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের দিকে গেলেও আগের মতো ব্যবসা আর হচ্ছে না। আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে স্থানীয় রোগীদের ওপর। বাংলাদেশি রোগী কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আয় কমেছে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ।
গত বছর আগস্ট মাসের আগেও পর্যটক ভিসায় বাংলাদেশি পর্যটকেরা কলকাতায় ঘুরতে এসে একবার হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা ছাড়া ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশী রোগীরা।