জ্বালানি তেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধের পক্ষে সায় দিয়েছে ইরানের জাতীয় সংসদের নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশন। কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কৌসারি জানিয়েছেন, তাদের কমিশন হরমুজ প্রণালী বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছে। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিশদ আলোচনার পর তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। এই পরিষদ কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রোববার (২২ জুন) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হরমুজ প্রণালী বিশ্বের তেল আমদানি-রপ্তানি তথা বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এটি সহজেই বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে ইরান।
হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের মোট তেল ও গ্যাসের চালানের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিবহন করা হয়। প্রতি মাসে ৩ হাজারেরও বেশি জাহাজ যা সামুদ্রিক কার্গোর একটি উচ্চ শতাংশ হিসেবে ধরা হয় এই চ্যানেল দিয়ে চলাচল করে থাকে। যেহেতু এই প্রণালীর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে ইরানের হাতে, তাই যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই প্রণালী চরম সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠেছে হরমুজ প্রণালী। কেননা, ইরান বারবার হুমকি দিয়েছে আসছিল-যদি তাদের স্বার্থে আঘাত আসে, তাহলে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে।
পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর এবং আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করার একমাত্র সমুদ্রপথ এই হরমুজ প্রণালী। সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইরানের মতো প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের উৎপাদিত জ্বালানি এই পথ দিয়েই রপ্তানি করে।
[116764]
বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জ্বালানির সিংহভাগের জন্য এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল।