অপারেশ ট্রু প্রমিজ ৩-এর ধারবাহিকায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও হামলা করেছে ইরান। এবারের হামলায় ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) ইরানের বিপ্লবী গার্ডের জারি করা একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে প্রথমবারের মতো ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে ইরনা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও এসফাহানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এই অভিযানটি চালানো হয়।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ((আইআরজিসি) জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রতিশোধমূলক অপারেশনের এই ধাপে ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে, যা সফলভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে।
তেল আবিবের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোকে ক্দ্রে করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক করেছিল যে, ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না।
রোববার সকালে ইসরায়েলি মিডিয়া জানায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে। ইরানের আজকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব এবং হাইফার বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সর্বশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন।
২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলোর একটি।
[116751]
তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি।