ইসরায়েলে হামলা নিয়ে নতুন ঘোষণা ইরানের

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
হামলার পর। ছবি : বিবিসি

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) সকালে ইরানের খাতাম আল-আম্বিয়ার কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল আলী শাদমানি এই ঘোষণা দেন।

আলী শাদমানি বলেন, “ইসরায়েল অনুতপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আরও ধ্বংসাত্মক মাত্রার আক্রমণ অব্যাহত থাকবে। ইরানের শক্তিশালী এবং প্রস্তুত সশস্ত্র বাহিনীর গর্বিত অভিযানের ধারাবাহিকতায়, অপরাধী এবং আগ্রাসী ইহুদিবাদী শত্রু সম্পূর্ণরূপে অনুতপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত এবং আরও ধ্বংসাত্মক মাত্রায় অব্যাহত থাকবে।”

এর আগে ইরানের হামলায় তছনছ হয়ে গেছে ইসরায়েলের কয়েকটি শহর। শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাত ও রোববার ভোরে ইহুদিবাদী ভূখণ্ডটির হাইফা, তেল আবিব, তামরা, বাত ইয়াম, রামাত গান শহরের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালায় ইরান। এতে দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০০ জন।

এর মধ্যে শুধু উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে চারজন। নিহতরা আরব ইসরায়েলি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত। 

এ ছাড়া তেল আবিব নগরীর বাত ইয়াম শহরে ইরানি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। তাদের মধ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী নারী ও একজন ১০ বছরের শিশু রয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ৩৫ জন নিখোঁজ ছিল। তবে তাদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আডম’ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ইসরায়েলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি। কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই। এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের নাগরিক হলেও তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে ইসরায়েল।

ইরানের সর্বশেষ মিসাইল হামলায় মধ্য ইসরায়েলের রেহোবতের ‘ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের’ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।