সম্প্রতি কাশ্মীর পহেলগাঁও বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এরপর পালটা জবাবে ড্রোন হামলা চালায় ইসলামাবাদও। কয়েক দফায় চলতে থাকে পালটা-পালটি হামলার ঘটনা। এতে দুদেশের মধ্যে বাড়তে থাকে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এরই মধ্যে শনিবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুদেশ ভারত ও পাকিস্তান।
তবে কোন স্বার্থে এই দুদেশের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র? ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির চুক্তির পরে বিষয়টি খোলাসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চান তিনি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার একদিন পর রোববার (১১ মে) নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ আগ্রহের কথা জানান।
পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “এখনই আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই দেশের নেতারা যে তা বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যেভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।”
ট্রাম্প কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানান, কয়েক দশক ধরে চলা কাশ্মীর সংকট নিরসনে তিনি আগ্রহী। দু’দেশের সঙ্গেই এ বিষয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, “এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে, তার জন্য ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আমি আগ্রহী। ভারত এবং পাকিস্তান যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।”
পোস্টে দু’দেশের সঙ্গেও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্পর্ক মজবুত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “যদিও আলোচনা করা হয়নি, আমি এই দুটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি।”
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিষয়টি দিল্লির জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নীতি হলো কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে স্বাগত না জানানো।