যে হামলার পর ভারতের সব হিসাবনিকাশ পাল্টে যায়

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
প্রতীকী ছবি

মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। এর জবাবে শনিবার দেশটির বিরুদ্ধে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মজুতাগার ও একাধিক সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। ভারতের ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করেছে পাকিস্তান। শনিবার (১০ মে) সকালে জিওটিভি নিউজ এই তথ্য জানায়। এরপরই সব হিসাবনিকাশ পাল্টে যায় ভারতের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এর মধ্যে একটি পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায়। এখানে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগার রয়েছে। ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক যান, সাবমেরিন ও জাহাজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ছোড়া যায় যুদ্ধবিমান থেকেও। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ভারতের ৩৬টি স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এই স্থানগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী লেহ থেকে স্যার ক্রিক এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ভারতের সামরিক বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

ভারতের রাফাল

ব্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তানের এসব ড্রোনের অনেকগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে একটি সশস্ত্র ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। জবাবে পাকিস্তানের চারটি আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা নিশানা করে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ সময় দেশটির একটি রাডার–ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারত।

এর আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে ৩টি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি।

গত মাসের শেষের দিকে খবর পাওয়া যায়, ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। ভারতের হাতে থাকা ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে নতুন ২৬টি এলে দেশটির রাফাল যুদ্ধবিমানের বহর আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল।

আক্রমণ করতে গিয়ে যুদ্ধবিমান হারানো ও পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারত। আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আসে যুদ্ধবিরতি।