শাকিব খানের সর্বশেষ সফল ছবি ‘প্রিয়তমা’, পরের সব ব্যর্থ: ইকবাল

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

জনপ্রিয় নির্মাতা ও প্রযোজক মো. ইকবাল দাবি করেছেন, শাকিব খানের সর্বশেষ সফল ছবি ছিল ‘প্রিয়তমা’। এরপর থেকে নায়কের কোনো চলচ্চিত্রই ব্যবসাসফল হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে আলাপকালে ইকবাল বলেন, “আমি সবসময় সত্য কথা বলি, কোনো মিথ্যা বলি না। শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তৈরি করা হয়, তা আসলে কৃত্রিম। ‘প্রিয়তমা’র পর তার কোনো সিনেমাই চলেনি। ইউটিউব ও ফেসবুকে কিছু গ্রুপকে টাকা দিয়ে আওয়াজ তোলা হয়, কিন্তু আসলে ছবিগুলো ব্যবসা করতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “শাকিব খানকে ঘিরেই এখন সবাই নিশ্চিত সফলতার আশায় কাজ করতে চায়। তাই অনেক পরিচালক হিন্দি, তেলেগু, তামিল সিনেমা থেকে অংশবিশেষ কপি করে নতুন ছবি বানায়, পরে প্রচারণায় বড় কিছু বানানোর দাবি করে। কিন্তু দর্শক এখন বুঝে ফেলে—এসব নকল সিনেমা। সাময়িক আলোচনা হলেও এগুলো লাভের মুখ দেখে না।”

ইকবালের মতে, চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ হওয়ার পেছনে “চাটুকার সংস্কৃতি” বড় ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, “যাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টর বলা হয়, তারা আসলে শাকিবের চাটুকারিতা করে তাকে অতি উচ্চতায় তুলে ধরেছে। ফলে এক নায়কের আধিপত্য থেকে চলচ্চিত্র কখনোই মুক্ত হতে পারেনি। নাহলে আজ দেশে অনেক প্রতিভাবান নায়ক তৈরি হতো।”

আগামীতে তিনি আবারও অনন্ত জলিলকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন বলে জানান ইকবাল। তার ভাষায়,
“দেশের পরিস্থিতি এখন খুব একটা ভালো নয়, তাই একটু সময় নিচ্ছি। অনন্ত জলিলকে নিয়ে একটি ছবির কাজ অনেকটা এগিয়েছে। সব ঠিক থাকলে শিগগিরই শুরু করব।”

বর্তমানে অনেক নায়ক বিদেশে অবস্থান করছেন—এ প্রসঙ্গে ইকবাল বলেন, “তাদের না থাকায় দেশের চলচ্চিত্রের তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে তারা বড় কোনো অবদান রাখতে পারেননি। ফলে ইন্ডাস্ট্রি তাদের অনুপস্থিতিতেও ঠিকই চলছে।”

এদিকে, শাকিব খানকে নিয়ে নতুন যে বড় বাজেটের চলচ্চিত্রগুলো নির্মিত হচ্ছে, সে বিষয়ে সন্দিহান ইকবাল। তার মন্তব্য, “যখন মণিহার-এর মতো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে, তখন বড় বাজেটের ছবি বানিয়ে লাভ করা কঠিন। বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে চলতে হবে, নয়তো আরও ক্ষতি হবে।”

ইকবালের দাবি অনুযায়ী, ‘প্রিয়তমা’-এর পর শাকিব খানের কোনো সিনেমা দর্শক টানতে পারেনি। কৃত্রিম প্রচারণা, নকল গল্প, এবং একনায়কতান্ত্রিক তারকাকেন্দ্রিকতা—এই তিন কারণেই ধুঁকছে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্প।