যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটাবেন শাকিব ও বীর, থাকবেন বুবলীও

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে এক ফ্রেমে শাকিব খান ও শবনম বুবলী

‘প্রিয়তমা’ মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরার পর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কথা বলেন শাকিব খান। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বড় সন্তান আব্রাহামকে নিয়ে আমেরিকায় সময় কাটিয়েছি। আব্রাহাম ও শেহজাদের জন্য সব সময় আমার ভালোবাসা আছে। আব্রাহামকে সুন্দর মেমোরি দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আগামীতে শেহজাদও যাবে। তার প্রতিও আমার সমান ভালোবাসা থাকবে।’ ওই সময়টায় অপু বিশ্বাস ও আব্রাহাম খান জয় বেশ কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ছে

এবার যুক্তরাষ্ট্রে ছোট সন্তান শেহজাদকে নিয়েও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাবে শাকিব খানকে।

ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে এ মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেবেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। দেশটিতে মাস দুয়েকের বেশি সময় বুবলীর থাকার কথা রয়েছে। বুবলী জানিয়েছেন, শেহজাদের জন্মের পর আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হয়নি। শেহজাদের জন্ম যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র, তাই ওর কাগজপত্র হালনাগাদ করার কিছু ইস্যু রয়েছে। এগুলো সেরে নিতে চান। তাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। বেশ কিছুদিন সেখানে থেকে শেহজাদের যাবতীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক করার কাজটি সেরে নিতে চান।

গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘তাণ্ডব’। দেশের পাশাপাশি এখন দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পরবর্তী ছবির প্রস্তুতিও নিতে যাচ্ছেন তিনি। চুক্তি সেরেছেন একাধিক নতুন চলচ্চিত্রের। চুক্তিপত্রের কাজ সেরে ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন শাকিব খান। জানা গেছে, ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও অবকাশযাপনের উদ্দেশ্যেই এই সফর।

বৃহস্পতিবার রাতে শাকিব খান বলেন, ‘শেহজাদের মা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা জানিয়েছে। শেহজাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ আছে, তার মায়েরও আছে। আমি যেহেতু এই সময়টায় এখানে আছি, আমাদের বাবা-ছেলের একসঙ্গে ঘোরাঘুরি হবে। কাজের ব্যস্ততায় তো সেভাবে সন্তানদের সময় দিতে পারি না। তাই চেষ্টা করব শেহজাদকে সুন্দর স্মৃতি উপহার দেওয়ার, যেমনটা এর আগে এখানে আব্রাহামকে দিয়েছিলাম। সবার কাছে আমি তাদের প্রিয় তারকা, কিন্তু আব্রাহাম ও শেহজাদের কাছে তো তাদের বাবা। তাই তো অভিনয় ও অন্যান্য ব্যস্ততার ফাঁকে যেটুকু সময় পাই, ওদের দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার জায়গা থেকে ওদের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই করি, করেও যাব। আব্রাহাম ও শেহজাদ আমার ভালোবাসা, শক্তি ও প্রেরণা। যেহেতু এবার শেহজাদ তার মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে, আমিও আমার কাজে এখানে আছি, তাই বাবা-ছেলের একান্তে সময় কাটবে।’