শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করলো জনতা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ কয়েকজন শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।

ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষক শফিকুর রহমান গতকাল যে মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল- এ অবস্থায় স্থানীয় জনতা এটা ধরে ফেলে। এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলেছে। ওই সময় বলা হয়েছিল, কোনও মেয়েকে তুমি পড়াতে পারবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। অথচ আবারও একই ঘটনায় ধরা পড়েছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে তদন্তের পরও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।

অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন শিক্ষার্থীরা আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি। তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনও অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।’

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।