সরকারি গাছ চুরির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়াসহ ১৩ জনের নামে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি খাস জমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এর আগেও একবার তারা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দকৃত গাছের লগ, ডালপালা এবং পূর্বে কর্তনকৃত গাছের অবশিষ্ট ভূমি সংলগ্ন গুড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কর্তন ও বিক্রয় করা হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন জানান, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে মেম্বার ইব্রাহিম তাকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কর্তনের অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদনে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তি মালিকদের জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাস জমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।