অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গত আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সব ধরনের ক্রিকেটে সেটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনো বৈশ্বিক শিরোপা। সেই সুখস্মৃতি নিয়েই এবারের আসরে গিয়েছিল যুবা টাইগাররা। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের স্বপ্নভঙ্গ হলো কোয়ার্টার ফাইনালেই। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আর বাংলাদেশকে পেয়ে প্রতিশোধের সুযোগটা হাতছাড়া করল না এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা ভারত। যুবা টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরের সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইয়াশ ধুলের দল।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) অ্যান্টিগায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩৭.১ ওভারের সব উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৭ রান করে জয় তুলে নেয় ভারত।
এদিন বাংলাদেশের ইনিংস শেষেই ম্যাচের ফল আন্দাজ করা গিয়েছিল। শক্তিশালী ভারতের সামনে ১১১ রান বড় কোনো স্কোর নয়। বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুর ধাক্কাটি দেন রবি কুমার। এই পেসারের গতির কাছে হার মেনে দলীয় ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আরিফুল ইসলাম (৯) ও মোহাম্মদ ফাহিমকে (০) আউট করে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ভাঙার দায়িত্ব পালন করেন ভিকি ওস্টাল।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে আটে নামা মেহেরব হোসেনের ব্যাট থেকে। এছাড়া আইচ মোল্লা ১৭ ও আশিকুর জামান ১৬ রান করেন।
ভারতের হয়ে রবি কুমার ৩টি ও ভিকি ওস্টাল ২টি উইকেট নেন। এছাড়া রাজবর্ধন হাঙ্গার্গকার, কুশল তাম্বে ও আংকৃশ রঘুবংশি ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার হারনুর সিংকে (০) হারায় ভারত। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান তুলে সেই ধাক্কা সামাল দেন অন্য ওপেনার রঘুবংশি ও তিনে নামা শেখ রাশিদ। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে রঘুবংশি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর অবশ্য দ্রুতই আরো ৩ উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৭৫ রানে রাশিদ (২৬), ৮২ রানের মাথায় সিদ্ধার্থ যাদব (৬) ও ৯৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন রাজ বাওয়া (০)। তাতেও অবশ্য জয় পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি ভারতের। অধিনায়ক ইয়াশ সঙ্গী তাম্বেকে নিয়ে ঠিকই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ইয়াশ ২০* রানে ও তাম্বে ১১* রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন তানজিম হোসেন সাকিব।
বল হাতে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছে ভারতীয় পেসার রবি কুমার।