ক্রিকেট বিশ্বে ফিটনেসের দরুণ অন্যতম রোল মডেল ধরা হয় ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। তার ফিটনেস লেভেল অন্য সব ক্রিকেটারের চেয়ে আলাদা। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি সচেতন ছিলেন না বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
২০০৮ সালে বিরাটের অধিনায়কত্বেই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। দিল্লির ছেলে কোহলির খাবারের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তখন। এজন্য দৈহিক গড়নও ছিল অধিক স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ। যে কারণে সতীর্থ খেলোয়াড় ‘চিকু’ ডাকনাম দিয়ে দেয় কোহলিকে। পরে ধীরে ধীরে নিজের খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ এনে ফিটনেসে মনোযোগী হন তিনি।
কিন্তু এই উপলব্ধির আগে, কোহলি একজন ভোজনরসিক হিসেবে সতীর্থদের কাছে পরিচিত ছিলেন এবং সমস্যায় অবতরণের বিষয়েও পরোয়া না করে খাবারের প্রতি ঝুকে পড়েন তিনি। যুব ক্রিকেটে কোহলির সাবেক সতীর্থ ও রুমমেট প্রদীপ সাংওয়ান প্রায় দেড় দশক পর এমন একটি ঘটনা সামনে আনলেন, যেখানে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অনিরাপদ লোকালয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিজের কলামে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে করা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের এক ঘটনা উল্লেখ করেছেন পেসার সাংওয়ান।
সেখানে তিনি লিখেছেন, "জুনিয়র ক্রিকেটে প্রায় ৭-৮ বছর আমরা রুমমেট ছিলাম। ও সবসময় খেতে ভালোবাসতো, বিশেষ করে স্ট্রিট ফুড। কোরমা রোল, চিকেন রোল ওর পছন্দের ছিল। সেই ভোজনরসিকতা থেকেই একবার মাটন রোল খেতে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন তারা।"
সাংওয়ান লিখেছেন, ‘আমরা তখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিলাম। কেউ একজন আমাদের জানালো যে, একটি জায়গায় ভালো মাটন রোল পাওয়া যায়। তবে জায়গাটি খুব একটা নিরাপদ নয়। নিরাপত্তা শঙ্কার কথা শুনেও দমে যাননি কোহলি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে রওনা সেখানের যাওয়ার জন্য রওনা হন।
তাদের গাড়িচালকও বলছিল যে, সেখানের খাবার খুবই মজা কিন্তু জায়গাটি নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগেই নাকি সেখানে একজনের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল।’
‘এ কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু কোহলি বলে, আরেহ এগুলো বিষয় না। চল যাই। আমাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই। আমরা সেখানে খেলাম। এরপরই অচেনা কয়েকজন আমাদের ধাওয়া শুরু করলো। আমরা কোনোমতে গাড়িতে উঠে একদম হোটেলে ফেরার পর থেমেছি।’