দীর্ঘ ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। কিন্তু সফরের প্রথম ম্যাচের ফল অমীমাংসিতই থাকল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে নিষ্প্রাণ ড্র’ই করতে হলো অজিদের।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৪ উইকেটে ৪৭৬ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম দিনে এসে অলআউট হয় ৪৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ২৫২ রান তুলতেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) পঞ্চম দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে ১০ রান যোগ করতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া।
টেস্ট ম্যাচের ফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে ১৭ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আউটই হলেন না। বিনা উইকেটে তারা করেন ২৫২ রান।
ব্যাট হাতে পাকিস্তানের দুই ওপেনিং ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল হক মিলে করলেন জোড়া সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের উইকেট না দেয়ার পণ করে নেমেছিলেন তারা। যে কারণে উদ্বোধনী জুটিতেই ২৫২ রান তুলে খেলা শেষ করে তারা। ১৩৬ রানে আবদুল্লাহ শফিক এবং ১১১ রানে ব্যাট অপরাজিত থাকেন ইমাম-উল হক।
এরমধ্যে ইমাম-উল হক আবার উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১ টেস্টে সেঞ্চুরি বঞ্চিত ইমাম ১২তম টেস্টে এসে দুই ইনিংসেই করলেন সেঞ্চুরি। নিজের নামের পাশে স্বজনপ্রীতির যে তকমা সমালোচকরা করেছিলেন, তা ঘরের মাঠের আলো-বাতাসে যেন জবাব দিয়ে দিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, নাথান লিয়ন, মার্নাস ল্যাবুশেন, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ কিংভা ক্যামেরন গ্রিন- মোট ৯জন বোলার। পুরো দলের কাকে ব্যবহার করতে ভুলেছেন অধিনায়ক কামিন্স! ডেভিড ওয়ার্নার আর উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে- দুই নিরেট ব্যাটার ছাড়া বাকি সবাই বল করলেন। কিন্তু পাকিস্তানি দুই ওপেনারের জোড় ভাঙতে পারলেন কই!
প্রথম ইনিংসে ইমাম-উল-হকের ১৫৭ ও আজহার আলীর ১৮৫ রানের ওপর ভর করে ৪ উইকেটে ৪৭৬ রান করেছিল পাকিস্তান।
অজিদের পক্ষে লিয়ন, কামিন্স ও লাবুশেন পান একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৪৫৯ রানে। টপ অর্ডারে খাজা ৯৭, ওয়ার্নার ৬৮, লাবুশেন ৯০ ও স্মিথ করেন ৭৮ রান। পাকিস্তানের পক্ষে নোমান আলী পান ৬টি উইকেট। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি ২টি এবং সাজিদ খান ও নাসিম শাহ নেন একটি করে উইকেট।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন দুই ইনিংসে শতক হাকানো পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল-হক। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আগামী ১২ মার্চ করাচিতে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
