প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান শ্রেয়াস আইয়ারের। তার ৬৭ রানের সঙ্গে নিজের ঝোড়ো ব্যাটিং-সত্তাকে জাগিয়ে ফিফটি তুলে নেন পান্তও। ফলে ব্যাঙ্গালোরের দিবারাত্রি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায় শ্রীলঙ্কাকে ৪৪৭ রানের টার্গেট দিয়ে জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে ভারত।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই লাহিরু থিরিমানের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এই বাহাতি ব্যাটারকে ফেরান আগের ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া বুমরাহ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
এরপর দিমুথ করুনারত্ন ১০ এবং কুশল মেন্ডিসের অপরাজিত ১৬ রানে সফরকারীরা দিন শেষ করেছে ২৮ রানে। জয়ের জন্য এখনও ৪১৯ রান দরকার শ্রীলঙ্কার। আর ভারতের প্রয়োজন ৯ উইকেট৷
প্রথম দিনে টস হেরেও বেশ ভালো বোলিং করেছিল শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা। শ্রেয়াসের সর্বোচ্চ ৯২ রানের পরও মাত্র ২৫২ রানে অলআউট করে দিয়েছিল তারা। এরপর নিজেরা ব্যাট করতে গিয়ে বুমরাহ-শামির বোলিং তোপে চরম বিপদে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রানে প্রথম দিন শেষ করে তারা।
দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি শ্রীলংকার ব্যাটাররা। মাত্র ১০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরে জয়ের মুখ না দেখা দলটি। প্রথম দিনের ম্যাথিউসের ৪৩ রানই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ দ্বীপরাষ্ট্রটির।
১৪৩ রানের লিড পেয়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হওয়ার চেয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংটাকেই বেছে নেন। যার কারণে মাত্র ৬৮ ওভার ৫ বল ব্যাট করতেই ৯ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে তারা। ইনিংসের লিড ৪৪৬ রান হলে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে আউট হওয়া শ্রেয়াস আইয়ার দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ৬৭ রান। এছাড়া আইপিএলে তার সাবেক সতীর্থ পান্ত করেন ৩১ বলে ৫০ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট নেন প্রভীন জয়াভিক্রমা। এছাড়া লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ৩টি এবং ১টি করে উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।