গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ হার। শেষ আট ম্যাচে এমন শোচনীয় হারের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে স্বস্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জয়ের ধারা ধরে রাখার মিশনে ব্যর্থতার পরিচয় দিল টাইগার ব্যাটাররা।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১১৫ রান তুলতেই থেমে গেছে।
শনিবার (৫ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের মতই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ব্যাট থেকে কোনো রান নিতে পারেননি মুনিম। যদিও বাউন্ডারিও পেয়ে যান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। আগের ম্যাচের মতো এদিনও চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন মুনিম। মুনিমের ব্যাটিংয়ের ধরণ বেশ ভালোভাবেই পড়ে ফেলেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। ওই চার রানেই প্যাভিলিয়নে মুনিম।
আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটানো লিটন দাস এদিও ব্যাটিং ঝড়ের বার্তা দেন ফারুকিকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরে। তবে সেই ইনিংসটি বড় করতে পারেননি লিটন। আজমতউল্লাহর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ১০ বলের ইনিংসে বাউন্ডার ওই একটিই।
দুই উইকেট হারিয়ে পাওয়ার-প্লেতে ৩৩ রান তোলে বাংলাদেশ দল। নাঈম তখনো উইকেটে। সুযোগ পেয়েও আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে উল্টো দলের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন। ইনিংসের নবম ওভারের শুরুর বলে করিম জানাতের দুর্দান্ত এক থ্রোতে সাজঘরে নাঈম।
সতীর্থ সাকিব আল হাসানের দিকে তাহালে নাঈম অবশ্য কিছুটা স্বস্তি পাবেন। ব্যাট হাতে বাঁহাতি সাকিবের ফর্মটাও পড়তির দিকে। এ ম্যাচেও ব্যর্থ সাকিব। আগের ম্যাচে ৬ বলে ৫ করে আউট হয়েছিলেন তিনি। আজ সাকিবের ব্যাত থেকে আসে ৯ রান। যেখানে ৬০ স্ট্রাইক রেটে ১৫ বল খরচ করলেও কোনো বাউন্ডারি নেই তার ব্যাটে। ১০ ওভারে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মহা বিপর্যয়ে বাংলাদেশ দল।
সেখান থেকে দলকে টেনের তোলার চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েন ৪৩ রানের পার্টনারশিপ। তাদের জুটিতেই ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে ৩৮ বল পর বাউন্ডারির সন্ধান পায় স্বাগতিক শিবির। দলের পড়তি রান তুলতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে রাশিদ খানে কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ৩ চারে ১৪ বলে করেন ২১ রান।
৪৩ রানের জুটি ভাঙার পর সতীর পথ অনুসরণ করেন মুশফিকও। পরের ওভারেই সাজঘরে তিনি। ফারুকির দ্বিতীয় শিকার হন ২৫ বলে ৩০ রানে। যেখানে তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চারের মার। একই ওভারে শেখ মেহেদীকে ফেরান আজমতউল্লাহ। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। আফিফও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বড় রানের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের।
শেষদিকে মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ বলে ৬ এবং নাসুম আহমেদের ৯ বলে অপরাজিত ৯ বলে ৫ রানের কল্যাণে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৫ রানে থামল বাংলাদেশের ইনিংস।
আফগানদের হয়ে পেসার ফারুকি আর আজমতউল্লাহ সমান ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া দুই স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান নেন একটি করে উইকেট।