ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ফলো অনে পড়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫২১ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ড এরই মধ্যে ৩৯৫ রানের লিড পেয়ে গেছে।
ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিদের আগ্রাসনের দিনে মাত্র ৪১.২ বল স্থায়ী হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ইয়াসির আলী ও নুরুল হাসান সোহান ছাড়া আরো কোনো ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। ইয়াসির ৫৫ ও সোহান ৪১ রান করেন।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারের পর ক্রাইস্টচার্চে দারুণভাবে ফিরে এসেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে রানের পাহাড় গড়ার পর বল হাতেও আগুন ঝরালো তারা।
বল হাতে বাংলাদেশ বধে কিউইদের নেতৃত্ব দেন বোল্ট। তার সঙ্গী হন সাউদি ও কাইল জেমিসন। বোল্ট নেন ৫ উইকেট। অন্যদিকে সাউদি ৩টি ও জেমিসন নিয়েছেন ২টি। নিল ওয়েঙ্গারের ঝুলিতে গিয়েছে ১ উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংসের যতটুকু প্রতিরোধ, তা করেছেন ইয়াসির ও সোহান। দলীয় ২৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতে ৬০ রান যোগ হয় বাংলাদেশের বোর্ডে। সোহানকে এলবিডাব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটিটি ভাঙ্গেন সাউদি। ৬ চারে সাজিয়ে ৪১ রান করেন সোহান।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টার করেন ইয়াসির। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন বোল্ট। মিরাজকে (৫) বোল্ড করে ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। বাংলাদেশের রান তখন ৭ উইকেটে ১০৯। এরপর দ্রুতই ফেরেন তাসকিন (২)। দলীয় ১২৬ রানে হার মানেন ইয়াসির। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে জেমিসনের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি টানেব বোল্ট। সেই সঙ্গে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেটটি তুলে নেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারের তিনজনই শিকার হন বোল্টের। শাদমান ইসলাম (৭), নাজমুল হোসেইন শান্ত (৪) ও লিটন দাস (৮) বোল্টের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। অন্য দুই ব্যাটার মোহাম্মদ নাইম (০) ও মোমিনুল হক (০) শিকার হন সাউদির।