ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। পনের ওভারে পঞ্চাশ ছাড়ানো বাংলাদেশ দলকে এরপর টেনে ধরেন লিটন। তার নিজস্ব ঢংয়ের ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ১৯তম ওভারে প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মহারাজকে টানা তিন বলে ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ব্যাটার।
নিজেদের ফিফটির সঙ্গে দলীয় শতকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ২২তম ওভারে শর্ট বল আশা করছিলেন তামিম, হাঁটু তুলে তাঁর শটের চেষ্টাও ছিল অমনই। তবে আন্দেলো ফেহলুখায়োর বলটা হয়েছিল নিচু। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বলের নাগালই পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে লিটনের সঙ্গে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গল তামিমের এলবিডব্লিউয়ে বিদায়ে। তার আগে ৬৭ বলে ৪১ রান করেছেন টাইগার অধিনায়ক।
এই দুই ব্যাটারের জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটিটাও এখন লিটন-তামিমের দখলে। এর আগের সেরা জুটিটি ছিল ২০১৭ সালে মুশফিকুর রহিম আর ইমরুল কায়েসের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তারা।
এরপর লিটন দাস তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু ঠিক তার পরের বলেই স্পিনার কেশব মজারাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান লিটনও।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২১ রান বাংলাদেশের। সাকিব ১২ ও মুশফিক অপরাজিত আছেন ৮ রানে।
বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: জ্যানেমান মালান, এইডেন মার্করাম, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, ডেভিড মিলার, কাইল ভেরিন (উইকেটরক্ষক), অ্যান্ডিলে ফেহলুকওয়ায়ো, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি।