কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু দিনের শুরুতেই তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে উইকেট হারাতে শুরু করে সফরকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৭ রান। বাংলাদেশের চেয়ে তারা পিছিয়ে ৮৩ রানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বলতে গেলে রান পেয়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার আবিদ আলী। তাইজুলের এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ার আগে ২ ছক্কা ও ১২ চারে সাজিয়ে ১৩৩ রান করেন তিনি।
অন্য ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক অবশ্য দিনের শুরুতেই তাইজুলের এলবিডাব্লুর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি করেন ৫২ রান। তিনে নামা আজহার আলীর তাইজুলের এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে (১০) ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুলের তৃতীয় শিকার ফাওয়াদ আলম করেন ৮ রান।
দুই স্পিনারের তোপে যখন দিশেহারা পাকিস্তানি ব্যাটাররা, তখন জ্বলে ওঠেন এবাদত হোসেন। এই পেসারের এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫)। ব্যক্তিগত ১২ রানে তাইজুলের পঞ্চম শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন হাসান আলী। আর সাজিদ খানের (৫) স্টাম্প উপড়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন এবাদত।
এদিকে ৫ উইকেট নিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়েন নোমান আলী (৮)। এ নিয়ে চারজন পাকিস্তানি ব্যাটার তাইজুলের এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়েন।