ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি শনিবার (১৫ জানুয়ারি) একটি লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন তিনি ভারতের টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।
৩৩ বছর বয়সী কোহলি গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়েন। এরপর তাকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে এমএস ধোনির কাছ থেকে টেস্ট নেতৃত্ব আসে কোহলির হাতে। ডানহাতি এই ব্যাটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে অসংখ্য স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের প্রথম এশীয় অধিনায়কও কোহলি। প্রকৃতপক্ষে, দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী এই ক্রিকেটার ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। ৪০টি জয়ে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সামগ্রিক তালিকায় কোহলির অবস্থান ষষ্ঠ। আসলে নেতৃত্ব এমন একটা জিনিস যা কোহলির সেরাটা বের করে এনেছে। এই ফরম্যাটে তার সাতটি ডাবল সেঞ্চুরির সবগুলোই এসেছে দলকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে।
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির রেকর্ড এবং কৃতিত্বের দিকে নজর দেওয়া যাক:
৪০–বিরাট কোহলি ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। ৬৮ ম্যাচে ৪০টি জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০–অধিনায়ক হিসেবে কোহলির ২০ টেস্ট সেঞ্চুরি যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু গ্রায়েম স্মিথ (২৫)।
৭–৩৩ বছর বয়সী কোহলি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাতটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
৩–কোহলির জয়ের হার ৫৮.৮২। টেস্ট অধিনায়কদের মধ্যে তৃতীয় সেরা যারা অন্তত ৫০টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোহলির উপরে শুধু স্টিভ ওয়াহ (৭১.৯২) এবং রিকি পন্টিং (৬২.৩৩)।
১–২০১৯ সালে কোহলি অস্ট্রেলিয়াতে টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড করা প্রথম এশিয়ান অধিনায়ক ছিলেন।
৩—কোহলি ভারতকে হোম টেস্টে ২৪টি জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। শুধুমাত্র রিকি পন্টিং (২৯) এবং গ্রায়েম স্মিথ (৩০) ঘরের মাঠে টেস্টে বেশি জয় পেয়েছেন।
৪–অধিনায়ক হিসেবে কোহলির ৫৮৬৪ টেস্ট রান যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য চতুর্থ সর্বোচ্চ।
১—কোহলি এমন দুই অধিনায়কের মধ্যে একজন যিনি তিনটি ফরম্যাটেই কমপক্ষে ৫০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমএস ধোনি এই কৃতিত্বের একমাত্র অন্য খেলোয়াড়।