ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ এ সমতা ছিল। শেষ ম্যাচটি দাঁড়িয়ে ছিল অঘোষিত ফাইনালে। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাত্তাই পায়নি ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। আগের ম্যাচে তাদের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ও শুভমান গিল ব্যাটিংয় তাণ্ডব চালালেও এদিন ফিরে গিয়েছেন দ্রুতই। ৩ ওভারে দলীয় ১৭ রানে দুজন ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। তারা ৩০ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। তিলক ভার্মা ২৭ রান করে আউট হলে এই জুটি ভাঙে।
এরপর সঞ্জু স্যামসন ১৩ ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১৪ রানে বিদায় নেন। অন্য প্রান্তে সূর্যকুমার যাদব আগলে রেখে খেলতে থাকেন। তিনি ৪ বাউন্ডারি ৩ ওভারবাউন্ডারিতে ৬১ রান করে প্যাাভিলিয়ানের পথ ধরেন। তার বিদায়ের পর আর কোনো ব্যাটার ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে পারেননি। যার কারণে সফরকারীরা নির্ধারিত ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। রোমারিও শেফার্ড ৪ ওভারে ৪ উইকেট শিকার করেন।
জবাবে উইন্ডিজরা মাঝারি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানে কাইল মায়ার্স হারিয়ে শুরুতে ধাক্কা খায়। তবে নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে ব্র্যান্ডন কিং দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। এই জুটি থেকে আসে ৭২ বলে ১০৭ রান। হার্দিকের বলে পুরান ৪৭ রান করে ফিরে গেলেও উইন্ডিজকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিং। তিনি ৫৫ বলে ৫ চার ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। কিংয়ের ইনিংসের ওপর ভর করেই ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা।
এই জয়ে ৩-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে সর্বোচ্চ ৭৬ রান সংগ্রহ করে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস পুরান।