• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝাড়ুদার থেকে কেকেআরের মিরাকল ম্যান রিংকু সিং


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম
ঝাড়ুদার থেকে কেকেআরের মিরাকল ম্যান রিংকু সিং

কলকাতার সমর্থকরা তখন হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। শুধু সমর্থক বলছি কেন? দলের কোচ এমনকি স্বয়ং খেলোয়াড়রাও কি ভেবেছিলেন জয়টা শেষ পর্যন্ত মুঠোয় আসবে কলকাতারই? কারণ, শেষ ওভারে যে লাগে ২৯ রান। এক ওভারে এই রান তোলা যাবে—এটা কল্পনাতেই ভাবতে ভালো লাগে। সেটাই বাস্তবে করে দেখালেন রিংকু সিং।

গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২০৫ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে ১৫ ওভার পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল নাইট রাইডার্স। ১৬তম ওভারে বল তুলে নেন রশিদ খান। আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইন ও শার্দূল ঠাকুরকে ফিরিয়ে রশিদের দারুণ হ্যাটট্রিকের পর কলকাতার জয়ের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল সবাই। সেখান থেকেই নতুন শুরু করেন রিংকু সিং। উইকেটে সেট হয়ে হাত খুলে মারতে থাকেন। এরপর শেষ ওভারে তিনি যা করলেন, সেটা অবিস্মরণীয় হয়ে রইল। জশ দয়ালের করা প্রথম বলটিতে সিঙ্গেল নিয়ে রিংকুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। পরের পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন রিংকু সিং। ২৫ বছর বয়সী এই অফ স্পিনিং অল-রাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৪৮* রানে।

যত সহজে সফলতার গল্প বলা শেষ হলো, রিংকুর জীবন ছিল তার চেয়ে বড্ড কঠিন। রিংকুর বাবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিলিন্ডার ডেলিভারির কাজ করতেন। ক্রিকেটকে লালন করে বড় হতে থাকা তার সামনে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্র্য। রিংকুর দুই ভাই কাজ করলেও সংসারে টানাটানি লেগেই থাকত। তাই ভাই-ই তাকে ঝাড়ুদারের কাজে লাগিয়ে দেন যাতে পরিবারের সহযোগিতা হয়।

তবে ক্রিকেটকে বুকে পুষে রাখা রিংকু আর্থিক বাধায়ও দমে যাননি। ক্রিকেটকে রেখেছেন ছায়ার মতো সঙ্গী করে। তার ফলও পেয়েছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে উত্তর প্রদেশে সুযোগ পান। ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন।

৬ বছর আগে ১০ লাখে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে সুযোগ মেলে রিংকুর। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি কলকাতার নিয়মিত সদস্য। কিন্তু ক‍‍জনই বা তাকে চেনে? বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন, নিয়েছেন কিছু দুর্দান্ত ক্যাচও। তবু আলোর বিপরীতেই ছিলেন রিংকু। এবার তিনিই হয়ে উঠলেন নিশ্চিত হারের ম্যাচ জয় করে কলকাতার ‍‍‘নায়ক’।‍‍ 

 

Link copied!