• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতিহাস গড়ে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
ইতিহাস গড়ে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

টানা তিন ম্যাচে টস ভাগ্য বাংলাদেশের সহায় হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচেই প্রথমে ব্যাটিং বাংলাদেশ। তাতে চললো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। তৃতীয় ম্যাচে ইচ্ছে করেই হয়তো বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠাননি অ্যান্ডি বালবার্নি। তাতে কী? বাংলাদেশের রেকর্ড হওয়া থামাতে পেরেছেন? 

প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।  ১০২ রান তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল।

 বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) টানা তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ ব্যাটারদের চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহেনীকে দলীয় ১২ রানে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার।

শুরু থেকেই একপ্রান্তে হাসান ও অন্যপ্রান্তে তাসকিন আহমেদ বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন। আর তাতে বারবার খেই হারিয়েছেন আইরিশ ব্যাটাররা। ইনিংসের নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ওভারের প্রথম বলে আরেক আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ২২ রানে ফেরার আগে তার সংগ্রহ ছিল মাত্র সাত রান। দুই বলের ব্যবধানে হাসানের তৃতীয় শিকার হন হ্যারি টেক্টর। এবারও লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলেন এই ডানহাতি পেসার। প্রথমে বোলার হাসানই নিশ্চিত ছিলেন না বল আগে ব্যাটে লেগেছে না প্যাডে। এরপর সময় নিয়ে রিভিউ নেন অধিনায়ক তামিম।  রিভিউ নেওয়ার পর উইকেট শিকারের উল্লাসে মাতে টাইগাররা।

পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকেও ফিরিয়ে দেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসার লেন্থ বুঝতে না পেরে ব্যালবার্নি ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যাম্পার ও লকরান টেকর। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিন চার হাঁকিয়ে স্কোরের গতি সাবলিল করেন লকরন টেকর।

দুজনের ব্যাটে প্রাথমিক প্রাথমিক চাপ সামলায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এরপর  দলীয় ৬৮ রানে ইবাদতের জোড়া ধাক্কায় আবারও খাঁদের কিনারায় চলে গিয়েছে দলটি। ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে টেকরকে ফিরিয়ে প্রথমে প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের চাপে ফেলে দেন এই ডানহাতি পেসার।

১১ রানের ব্যবধানে ব্যাক ম্যাকবার্নিকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। এই ডানহাতি পেসারের বাউন্সার মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বলের ব্যবধানে মার্ক অ্যাডায়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন তাসকিন।  

তবে অন্যপাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগে থাকলেও অন্যপ্রান্তে লড়াই করেছেন কার্টিস ক্যাম্পার। আট উইকেট হারালেও তার ব্যাটেই সম্মানজনক সংগ্রহের আশায় ছিল আইরিশ শিবির। তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হিউম।

ইনিংসের ২৭তম ওভারে আয়ারল্যান্ডের শেষ ভরসা ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে দেন হাসান। তার বাউন্সার সামলাতে না পেরে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর হিউমকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ১০১ রানের গুটিয়ে দেন হাসান। বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম ফাইফার। এছাড়া তাসকিন তিন ও ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার দুই অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে চেপে অনায়াসে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

অধিনায়ক তামিম ৪১ বলে ৫ চার আর ২ ছয়ে অপরাজিত ৪১* ও লিটন ৩৮ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। লিটনের ক্যারিয়ারে এটি নবম ফিফটি।

লিটন টানা দুই ফিফটি পেয়েছেন। এর আগের ম্যাচেও তিনি ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। এর আগে অবশ্য দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যের ব্যাটে রানখরা চলছিল।

অন্যদিকে, তামিম ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থ। আয়ারল্যান্ডও তো বটেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও তিনি ছিলেন অসফল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে শেষবার ফিফটি এসেছিল। এই রেকর্ড গড়া ম্যাচে তামিমও ফিরেছেন রানে।

 

Link copied!